হায়রে রাজনীতি....যেন বাকরুদ্ধ জনগণ
লিখেছেন লিখেছেন shaidur rahman siddik ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ১১:২২:২৪ রাত
রাজনীতির একাল আর সে কাল......প্লিজ পড়ুন
তখন আমরা অনেক ছোট,সরকারি ভোট ইউপি ভোট জানতাম,উপজেলার ভোট ছিল কিনা জানি না, তবে এটা জানি সবাই ভোট ভোট করে চিল্লায়।
দুপুড়ের দিকে গ্রামের ঐ দিক থেকে মিছিলের আওয়াজ চলে আসতেছে...আমি ভোঁ দৌড় যে মিছিল দেখব___গিয়ে দেখি ওরে বাপরে একটা লোকের সারা শরীরে গাছের পাতা দিয়ে মোড়ানো পিছনে লেজ লাগা আর মুখে ইয়া বড় একটা ভয়ংকর মানুষের মুখোঁশ লাগানো।মানে (বহুরুপি)
ঐডা দেখেই আমি আবার বাড়ীর দিকে দৌড় কারণ___সত্যি সত্যিই মনে করেছিলাম ঐ টা মানুষ না। ঐটা পশু....কেঁদে কেঁদে দাদির ওখানে চলে আসতাম।
ঠিক বিকেল বেলায় রাস্তায় দেখি মটরবাইক এর শোঁ-ডাউন আর চিঁল্লা চিঁল্লি,আমি ঘর থেকে রাস্তায় বাহির হয়ে শুধু চেয়ে দেখি সেই মটর বাইকগুলি।
ঠিক সন্ধাবেলা পাড়াল সকল ছেলেরা তৈরী মিছিল করবে বলে,আমি তাদের থেকে ছোট কিন্তু মনবল ছিল তাদের সাথে মিছিল করা।তাই আমিও গেলাম তাদের সাথে মিছিল করতে,আম্মুর চোঁখে ধুলা দিয়ে।
সবার সাথে সন্ধায় মিছিলে যোগদান করলাম.আর আমিও তাদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে স্লগান দিতে লাগলাম।
"আমার ভাই তোমার ভাই "
"আতিয়ার ভাই আতিয়ার ভাই"
কিন্তু তিনি যে এলাকার আমার বড় কাকা হয় সেটা জানতাম হয় জানতাম না। শুধু সবার সাথে তাল মিলিয়েই যাচ্ছি,আর হাতে হাতে তাল মিলিয়ে যাচ্ছি।
মিছিল নিয়ে তাদের বাড়ীতে উপস্হিত হয়ে সকলে সারিবন্ধভাবে দাড়িয়ে গেলাম,আর আমাদের সবাইকে এক কৌটা ২ কৌটা করে মুড়ি খেতে দিত।
...অবশ্য মুড়ি কোন বিষয় ছিল না,সবার সাথে আনন্দ করাটাই বড় বিষয় ছিল।আর প্রার্থী ও তার সাপোর্টারদের বিষয় ছিল এটাও একটা রমরমা মিডিয়া। যাক আজ আমি নামটা দিলাম---"পিচ্ছি মিডিয়া"।
তখনকার মানুষেরা আসলেই রম্য কৌতুক ও আনন্দতার সাথেই রাজনীতিকে দেখছিল এবং উপভোগ করছিল।
একবারে কথা এখনও মনে আছে....তখন একটু বড়ই হয়েছি,আমি ও সাজু মিছিলের সাথে আমাদের বাড়ী থেকে অনেক দুরেই গিয়েছিলাম__সবার সাথে নাচতে নাচতেই।কখন এতদুরে গিয়েছি সেটা মনেয় নেই....ফিরার পথে দেখি ও আল্লাহ এতদুরের রাস্তা আমি আর পারতেছিনা,রাত ও ঠিক ২ টা তো হবেই।
আসলে কথা হল কি__যাবার সময় সবার সাথে আনন্দে গেছি তো ,আর আসার সময় মাত্র ৪ জন ছিলাম।
তবুও ওটাই মজা ছিল বটে ।
....আর এখনকার রাজনীতির দিকে একটু খানি চোঁখ দিয়ে তাকাতেই যেন কখন নিজেকে আড়াল করত পারি প্রথমে এই চিন্তাটাই করি।
এখনকার রাজনীতি তে ফুটে উঠেছে প্রতিহিংসার আগুন,প্রতিশোধ ও ক্ষোভে ভরপুর।
এখন রাজনীতি মানেই খুন হত্যা গুম,আর নিজেকে প্রকাশ করতে অন্যের দোষ দিয়ে নিজেকে আড়াল করা।
এখন কোন রাজনীতিবিদদের মিছিল শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করতে গেলেই সমপুর্ণ চাপ পড়ে স্টুডেন্ট এর উপর।
জোড় করে হলেও সমাবেশে উপস্হিত হতে হবে।থাকতে হবে আমাদের ঐ রঙ্গমঞ্চের সাথে।
গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে আমাদের দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্তকে,গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক্ততার।
যাহা প্রতেকটা সমাজ ব্যাক্তি কোন ও দিনও চায় না,তাহা আজ চোখের সামনেই হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেহই মাথা উঁচু করে দাড়িয় প্রতিবাদ করতে সাহশ পাচ্ছে না।
দাড়াবে বা কি করেই___যে দ্বাড়ায় সেই হয়ে যায় মিথ্যা মামলা মিথ্যাখুনের ফাঁসি প্রাপ্ত আসামী।
আমি আজ এতটুই বলতে পারি,আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে পেয়েছি এই সোনার দেশ,পেয়েছি একটা মানচিত্র আর পেয়েছি স্বাধীনতার একটি কিছু গান...
....কিন্তু কগনও পাইনি স্বাধীন ভাবে চলতে,খেরতে,ও বলতে।
সেই স্বাধীন দেশে বিড়ালের মতই থেকে গেলাম।চেতনাময়ীদের জন্য।
আর বাংলাদেশের প্রিয় খেলা হতেছে এই বর্তমানের কাঁলো অধ্যায়ের দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্য।
কোথায় সেই তরুণ সমাজ আর কোথায় সেই বুদ্ধিজীবি।
ক্ষমতা দখলের জন্য তৈরী হচ্ছে মিথ্যা আইন।মিথ্যা মামলা ও কথায় কথায় অন্যের গীবত গাওয়া।
দেশের এই অবস্হায় আমার একটি ছোট বাক্য দিলাম_____"চলছি মোড়া অজানা অন্ধকারের পথে,নিমজ্জিত করতেছে এবং আমরা নিমজ্জিত হচ্ছি"
#নষ্ট ইজ এরশাদ ভার্সন টু।
সাইদুর
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন